স্বপ্ন পূরণের দ্বার প্রান্তে বুরুমচড়াবাসী হচ্ছে রাবার বাঁধ সুইচ গেইট প্রকল্প
মো: জসিম উদ্দিন : ২৪-০১-২০১৮
আনোয়ারা থানার বরুমচড়া গ্রামের দক্ষিন পুর্বের শেষ প্রান্তে সাঙ্গু নদীর শাখা, ভরা শঙ্খতে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে Rubber Dam, রাবার বাঁধ সুইচ গেইট প্রকল্পের কাজ।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (BADC) এর ব্যবস্থাপনায় প্রায় ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে উক্ত সুইচ গেইট বা রাবার ডাম এর কাজের চুক্তি হয় চায়না কোম্পানী বেইজিং IWHR কর্পোরেশন ( BIC) এর সাথে।
প্রতি বছর বরুমচড়া লক্ষ লক্ষ হেক্টর জমিতে ফসল উৎপাদনে সেচ বা পানির প্রয়োজন, যা এই ভরা শঙ্খর পানি পূরণ করে থাকে । তবে সাঙ্গু নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরের লোনা পানি কৃষি মৌসুমে এই ভরা শঙ্খতে প্রবেশ করে, পানিকে চাষাবাদের অনুপযুক্ত করে ফেলে । তাই এই লোনা পানি বন্ধে মাটি কেটে কাঁচা অস্থায়ী বাঁধ নির্মান এবং অন্য মৌসুমে আবার বাঁধ কেটে ফেলা এরকম হররানি থেকে এলাকাবাসীকে মুক্ত করার স্থায়ী সমাধানে নির্মিত হচ্ছে এই সুইচ গেইট।
বরুমচড়ার আশপাশের গ্রাম তৈলারদ্বীপ, ভরাচর ও উক্ত গ্রামের প্রায় ৮০% লোক কৃষি নির্ভর। আনোয়ারা, চটগ্রাম তথা বাংলাদেশের কৃষি আয়ের একটা অংশ আসে এই গ্রাম থেকে।
তাই প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে কৃষকদের চাষাবাদের সুবিধার্থে লোনা পানির প্রবেশ বন্ধ করার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে এই রাবার ডাম বা সুইচ গেইট। ভরা শঙ্খর মুখে প্রায় ৩০ শতক জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে এই গেইট। এতে করে চাষাবাদে সুবিধা ভোগ করবে বরুমচড়া সহ আশেপাশের সকল গ্রাম।
চলতি বৎসরের শুরুতে শুরু হওয়া এই কাজ শেষ করতে সময় লাগবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জনাব শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, "এটা আমার বাব দাদার, এলাকার মানুষের অনেক অনেক দিনের স্বপ্ন, আমার হাত দিয়ে এস্বপ্ন পূরণ যেন আমার কাছে জীবনের সেরা একটা পাওয়া, আশা করি কৃষি কাজে এটা বিপ্লব আনবে "।
এলাকার কৃষক লেনু মিয়া বলেন," অবাজি ইয়ান এক্কান হামর মত হাম হইয়ে, মাঝে মাঝে রাতিয়া এই বাঁধ ভাঙ্গি গেলে, আরার রাইতর ঘুম হারাম হই জাইত হই, এহন আল্লা দিলে নিশ্চিত চাষ গরিত ফাইজ্জুম" ।
উক্ত বাঁধ নির্মাণে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয় এলাকার শত লোকের। বসছে ছোট ছোট দোকান। চলাচলের সুবিধার্থে সুইচ গেইটের উপরে নির্মাণ করা হবে ব্রীজ, যাতে করে তৈলারদ্বীপ বরুমচড়া ও কানুমাঝির হাটের যোগাযোগ অনেকটা সুবিধা হবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।


Comments
Post a Comment