ইকামা নবায়ন সৌদি প্রবাসীদের জন্য সোনার হরিণ যুক্ত হল বর্ধিত ফি ও ভ্যাট।
প্রবাসীদের কষ্টের কথা তুলে ধরেছেন সাংবাদিক জসীম উদ্দীন
২০১৭ সালে সৌদি সরকার প্রবাসীদের ইকামা নবায়নের যে ফি ঘোষনা দিয়েছিলো।নতুন বছরে সে ঘোষনা যোগ করলেন ইকামার বকেয়া ফি।
অথাৎ যে সব প্রবাসী নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ইকামা নবায়ন করেছিল তারা হয়তো অনেকে ভেবে ছিলো নতুন বছরে আর কোন বকেয়া বিল বা ফি দিতে হবে না।কিন্ত না সৌদির সরকার শ্রম মন্রানালয় থেকে ইতি মধো সে বিলে স্পষ্ট করে কর্মরত শ্রমিকদের ইকামার নাম ও নাম্বার দিয়ে তাদের বকেয়া বিলের হিসাব কোম্পানির কাছে পৌছে দেওয়া হইয়াছে।
প্রাবাসীদের উপর ইকামার পুর্বে ফি ২৪০০ রিয়াল বছরে।সাথে যোগ হয়েছে আরো ২৪০০ রিয়াল।যে সব কোম্পানিতে ৫০% সৌদি বা তার অধীক সৌদি কর্মরত আছেন এমন কোম্পানির ফি ৩৬০০ রিয়াল ঘোষনা করেন।এমন ঘাষনা পর প্রবাসী বাংলাদেশী ভাইয়েরা নানা রকম সংশয়ের পড়েছে।বিশেষ করে বাংলাদেশী ব্যবসায়ী স্পন্সর নিয়ে সৌদিতে ব্যবসা করছেন।অনেকে নিজেদের বহু কষ্টে অর্জিত ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বদ্ধ পরিকর।তার পরও যারা ফ্রী ভিসার লোক চাকুরীর অভাব মাস কে মাস বসে আছে কখন সোনার হরিনের মত চাকুরী পাবার আশায়।বছর শেযে গুনতে হবে ইকামা নবাযনের টাকা।
অনেকের সংসারে নুন আন্তে পান্তা ফুরাই।অধীক আগ্রহে বসে আছে বাবা ভাই রোজগার করে মাস শেষে টাকা পাটাবে।সবাই মিলে দু মোঠো মোটা চালের ভাত রান্না করে খাবে।সেই আশা কি পুর্ন হবে সবার।এই সব নিয়ম কানুনের চিন্তাই ইতি মধে অনেক প্রবাসী ঘর মুখী হবার চিন্তা মগ্ন।অনেকে সহয্য করতে না পেরে আত্মহত্যা পথ বেচে নিয়েছেন।সব দেশই চায় উন্নত দেশের মত তাল মিলিয়ে চলতে।কিন্ত অসহায়দের সব সময় কপাল পুড়তে থাকে।তবে সবচেযে বেশী ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে যারা চাকুরী নাই বেকার।নিয়ম বিধির কারনে একদিকে যেমন সৌদি আরবের লক্ষ্য পুরন হচ্ছে।তেমনি আরবদের ছেলেদের কর্ম স্হান পুরন করতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা সৌদি সরকার কে অভিন্দন জানাচ্ছে আরব দেশের জনসাধারন।

Comments
Post a Comment