শিশু নাসরিন সুলতানা (১০) হত্যার সুবিচার এবং ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
আমি এক নির্যাতিত নারী আজ চরম হতাশা গ্রস্থ এবং নিরুপায় হয়ে আজ ৩০
অক্টোবর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে একটি সত্য ঘটনা
বিগত ২৮ শে জানুয়ারী ২০১৮ ইং সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে আমার ১০ বৎসরের
জানানোর জন্যই উপস্থিত হয়ে জাতীকে জানাতে সংবাদ সম্মেলন।
স্কুল পড়–য়া ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী নাসরিন সুলতানাকে পূর্ব শত্রুতার জেরে
দীর্ঘদিন যাবৎ বসত ভিটে দখল নিতে এবং সম্পত্তির লোভে আমার অবুঝ শিশুকে এই
হত্যা করেছে বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানতে পারি। আমার চাচা শ্বশুরগংরা
নি:সংস হত্যাকান্ড ঘটিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকায় প্রচার
করার চেষ্টা করছেন।
দ্রুত বাড়িতে এসে আমার কন্যাকে হাঁটু ভাঙ্গা অবস্থায় ফাঁস লাগানো থেকে
উল্লেখ্য যে, ঘটনার দিন আমি কর্মস্থল (ঘাসফুল এনজিও) তে কর্মরত থাকাকালে
ফোনে আমার প্রতিবেশী শিশু নাসরিনের মৃত্যুর সংবাদটি জানায়। খবর পেয়ে
নামাই। কিন্তু এর অনেক আগেই তার মৃত্যু অস্বাভাবিক কারণে ঘটেছে বলে
চাচা শ্বশুর পক্ষের লোকজন শিশু কন্যা নাসারিনকে হত্যা করিয়াছে। যাদের
আলামতে বুঝা যাচ্ছে। আর ফাঁস লাগানো দৃশ্যটি দেখে বুঝা যাচ্ছিলো এটি
আত্মহত্যা নয়। কেউ পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে তাকে ফাঁস লাগিয়ে দেয়া
হয়েছে। আমি অত্যান্ত জোর দিয়ে দাবী করি এটি আসলে হত্যাকান্ডই হবে। আমার
চট্টগ্রাম এলাকার সরদার (বর্তমান পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসের চাচা আকবর
মধ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ ১) মোঃ করিমুল আলম (৩৮), ২) মোঃ মনজুর আলম (৪০),
৩) জহুরা বেগম (৩৫), ৪) ডলফিন (৩৫), মইনুল আলম (৫০) সর্ব সাং: এহসান
উল্লাহ চৌধুরীর বাড়ি (কালা মিয়া) চৌধুরীর বাড়ি, থানা: হাটহাজারী, জেলা:
আমাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেন। কিন্তু দীর্ঘ ৮/৯ মাস অতিবাহিত হলেও আমি
হায়দার চৌধুরী ) সহ আরো কয়েকজন দুষ্ট প্রকৃতির লোকজন সম্মিলিত ভাবে উক্ত
হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জেনেছি। বিষয়টি এলাকাতে আরো
জানাজানি হলে আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হত্যাকান্ডের বিবরণ বলি। তারা
কোন সহায়তা পাইনি। ঘটনার পরে নিকটস্থ থানায় গিয়ে হত্যাকান্ডের
প্রত্যয়ে গত ২৫/০৭/২০১৮ ইং জেলা লিগ্যাল এইড অফিস, চট্টগ্রামে স্মারক নং:
অভিযোগ/জিডি করতে চাইলে থানা পুলিশ আমার অভিযোগ ও জিডি গ্রহণ করেননি।
এছাড়া আমাকে থানা থেকে ধমক দিয়ে বের করে দেন এবং হাটহাজারী থানার এস আই
জালাল (অপমৃত্যুর মামলার কর্মকর্তা) তিনিও সোরোতাল রিপোর্ট না দিয়ে
ভিকটিম পরিবারকে চরম হয়রানি করার অভিযোগ ওঠে। সঠিক আইনী সহায়তা পাওয়ার
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভারাক্রান্ত মনে আমার শিশু কন্যা নাসরিন
৭৯৯ মূলে অভিযোগ দাখিল করি। উক্ত সংস্থার সহায়তায় গত ৩১/০৭/২০১৮ ইং
তারিখে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রামে ৪১৮/১৮ নং
মূলে হত্যাকান্ড মামলা, ধারা: ৩০২/৩৪ দঃ বিঃ দায়ের করি। উল্লেখ থাকে যে,
ঘটনার পরের দিন আমার স্বামী নাছির উদ্দিনকে থানা ডেকে পুলিশ সাদা কাগজে
টিপসই নেন। এর করণ জানতে চাইলে পুলিশ কোন ব্যাখ্যা দেননি।
নির্বাহী কর্মকতা সহ উচ্চ প্রশাসনের সহয়তা কামনা করছি । সংবাদ সম্মেলনে
সুলতানার জগন্যতম হত্যাকান্ডের সুবিচার এবং ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক
সর্বোচ্চ শাস্তির জোর দাবী জানাই। একই সাথে আদো এটি কি আত্মহত্যা নাকি
হাত্যাকন্ড তা পুনঃ তদন্ত করে সঠিক বিচারের নিমিত্তে দেশের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি,
মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এবং উপজেলা
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের মা বেনুয়ারা বেগম, এ সময় আরো উপস্থিত
প্রতিবেশী মনোওয়ারা বেগম, মোঃ শাহজাহান, মোঃ সাইফুল ও এলাকাবাসী।
ছিলেন নিহতের বাবা নাছির উদ্দিন, বড় মেয়ে কিবরিয়া সুলতানা বিনা,


Comments
Post a Comment