রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অনেকে ‘আকামা’ নবায়ন করতে পারছে না: সুজন



রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অনেকে ‘আকামা’ নবায়ন করতে পারছে না: সুজন

দেশের অর্থনীতির প্রাণ রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদন জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।  


রোববার (২৮ মার্চ) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ আবেদন জানান।সুজন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি হচ্ছে প্রবাসী আয়। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দক্ষ ও অদক্ষ কর্মজীবী ঐসব দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন।

বাংলাদেশের শ্রমশক্তির একটি বড় অংশ মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত আছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বর্তমানে প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য অংশ তাদের আকামা বা কাজের অনুমতিপত্র নবায়ন করতে পারছে না।

সম্প্রতি পবিত্র ওমরাহ পালন উপলক্ষে সৌদিআরবে অবস্থানকালীন সুজনকে মক্কা শরিফ, মদিনা শরিফ, জেদ্দা, দুবাই, আরব আমিরাত, কাতার ও বাহরাইনসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা সাক্ষাৎ এবং ফোন করে তাদের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশার কাহিনি জানান। লকডাউনের ফলে ব্যবসা চাকরি হারিয়ে তারা যেন দিশেহারা।

তাদের আকামা নবায়নের সময় পার হয়ে গেলেও টাকার অভাবে তারা আকামা নবায়ন করতে পারছে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আকামা নবায়ন করতে না পারলে শেষ পর্যন্ত তারা হয়তো বৈধভাবে সে দেশে আর চলাফেরা করতে পারবে না। তারা পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার হয়রানির মুখে পড়বে এমনকি তাদের দেশে ফেরত চলে আসতেও হতে পারে।  

সুজন বলেন, এ করোনাকালেও বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের অন্যতম প্রধান জোগানদাতা হচ্ছেন আমাদের প্রবাসীরা। তারা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে বিদেশ থেকে কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। আজ তাদের দুঃখ লাঘবে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনাকালীন বিভিন্ন সেক্টরকে প্রণোদনা দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছেন।  

প্রবাসীদেরও বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান সুজন। বিশেষ করে যারা টাকার জন্য আকামা নবায়ন করতে পারছে না তাদের আকামার বিপরীতে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া উচিত যেটা পরবর্তীতে সহজ কিস্তিতে তাদের বেতন থেকে কর্তন করা যায়। এ ছাড়া দেখা যাচ্ছে যে আমাদের দূতাবাসগুলো প্রবাসীদের এই দুর্দিনে তাদের দরজা বন্ধ করে বসে রয়েছে। একজন সাধারণ প্রবাসীদের সঙ্গে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কোনো সম্পর্কই নেই। রাষ্ট্রদূত কিংবা দূতাবাসের কর্মকর্তারা যে একটি রাজনৈতিক সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত সেটাও তারা ভুলে যেতে বসেছেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে তাদের সঙ্গে একটু সৌজন্য সাক্ষাৎ করারও প্রয়োজন মনে করছে না তারা।  


সুজন বলেন, আমি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন জানাই আমাদের দেশের অর্থনীতির প্রাণ রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রণোদনা সহায়তা দিয়ে তাদের বাঁচান, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচান।

Comments

Popular posts from this blog

নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিভাগে সুযোগ না দেওয়ায় মানববন্ধন করলো রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ এর শিক্ষার্থী ও অভিভাবক

কক্সবাজারে আশ্রিতের স্ত্রীকে ধর্ষণ অতঃপর স্বামীকে হত্যা

পটিয়া হাবিলাসদ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯২ ব্যাচের পূর্ণমিলনী উৎসব আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন