নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিভাগে সুযোগ না দেওয়ায় মানববন্ধন করলো রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ এর শিক্ষার্থী ও অভিভাবক

 


নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিভাগে সুযোগ না দেওয়ায় মানববন্ধন করলো রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ এর শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।

আমরা নবম ও দশম শ্রেণীর অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক বৃন্দ। আমরা বিগত করোনা মহামারী পরিস্থিতি থেকেই আমরা এবং আমাদের বাচ্চারা লেখাপড়া নিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানীর স্বীকার। প্রথমে প্রায় ২ বছর স্কুল বন্ধ থাকার পর স্কুল শুরু হলে তারা ১ বছর ১ কারিকুলামে পড়াশোনা করে, এরপরে কারিকুলাম পরিবর্তন হয়ে আবার সেই নতুন কারিকুলামে আবার ২ বছর পড়ালেখা করে উল্লেখ্য যে এই নতুন কারিকুলামের ব্যাপারে ৯০% শিক্ষকই সঠিকভাবে অবহিত ছিলো না। তারপর ২০২৪ যা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটা ভয়াবহ সময় যেখানে সারা বছর মিলিয়ে মাত্র ৪৬ দিন স্কুল কার্যক্রম চলে। যা ছাত্রছাত্রীদের জন্য সত্যি মর্মান্তিক কিন্তু এর মাঝেও বছরের শেষে মাত্র ২ মাস বাকি থাকতে  আবার কারিকুলাম বদলে দেওয়া হয়। এতে করে মাত্র ২২/২৩ দিন ক্লাস করার পরে তারা ১০০ নাম্বারের বার্ষিক পরীক্ষায় বসে।
আমাদের ছাত্রছাত্রীরা এদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থায় সত্যি গিনিপিগ হিসাবেই ব্যাবহৃত হচ্ছে। এখন ফলাফল ভোগ করতে হচ্ছে এই ছাত্রছাত্রীদের।
ছাত্রছাত্রীরা এখন তাদের পছন্দ মত বিভাগ পাচ্ছে না, স্কুল/কলেজ জোর করেই ছাত্রছাত্রীদের উপর তাদের পছন্দের বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে এতকিছুর পরেও মাত্র ২ মাসেরও কম সময় পড়া শোনা করে ছাত্রছাত্রীরা ৭০% থেকে ৮০% নাম্বার অর্জন করেছে।
শিক্ষামমন্ত্রনালয়ের গাইড লাইনে কোথাও কোনভাবে উল্লেখ নাই যে  কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাত্রছাত্রীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পুর্বক তাদের যে কোন বিভাগে ভর্তি হতে বাধ্য করতে পারবে। বরং ২৪ সালের ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয় বিশেষ ছাড় দিয়েছে। তাহলো কোন ছাত্রছাত্রী ৩ বিষয়ে ফেল করলেও  তাকে পরবর্তী শ্রেণীতে প্রমোশন দিতে হবে।
অভিভাবকদের কাছ থেকে জোর পুর্বক  বিভিন্ন কঠিক শর্তে মুসলেকা নেয়া হচ্ছে। যা ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মানুষিক ভাবে বিপর্যস্ত করে দিচ্ছে।
অভিভাবকদের বলা হচ্ছে যে পছন্দ মতো বিভাবে পড়াতে হলে  টি.সি অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলে যেতে , এটা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে পারেনা। যেখানে সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পুর্ন করা হয়। যা ডিসেম্বর মাসেই সম্পুর্ন করা হয়ে থাকে।
আমাদের দাবি :
১. আমাদের ছাত্রছাত্রীদের তাদের পছন্দ মতো বিভাগ দিতে হবে।
২. আমরা কোন ধরনের মুসলেকা দিবো না।

Comments

Popular posts from this blog

কক্সবাজারে আশ্রিতের স্ত্রীকে ধর্ষণ অতঃপর স্বামীকে হত্যা

পটিয়া হাবিলাসদ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯২ ব্যাচের পূর্ণমিলনী উৎসব আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন