সীতাকুণ্ডে নির্মিত ঘর ভেঙ্গে জায়গা দখলের পায়তারা করার অভিযোগ।

 


সীতাকুণ্ডে নির্মিত ঘর ভেঙ্গে জায়গা দখলের পায়তারা করার অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সীতাকুণ্ডে এক জামায়াত নেতা  সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির মৌরসী জায়গার উপর ১৫/২০ বছর আগে নির্মিত ঘর ভেঙ্গে জায়গা দখলের পায়তারা করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
থানার অভিযোগের বিবরণে জানা যায়,গত কয়েক মাস ধরে জামায়াত নেতা কুতুব উদ্দীন শিবলী প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মাহমুদুল হকের বোন রহিমা তার ঘরসহ জায়গা বিক্রি করে দেয়ার জন্য বার বার শিবলী প্রস্তাব পাঠায়।এতে রহিমা বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানালে শিবলী ভিতরে ভিতরে ফন্দি আঁটে তাকে উচ্ছেদ করতে।এরই ধারাবাহিকতায় সে সরকারী রাস্তা রহিমা দখলে রেখেছে বলে অজুহাত তুলে বিভিন্ন লোকজনকে উস্কিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।একদিন সে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লোকজনসহ রহিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে গেলে দেখা যায় ঐ রাস্তার উপর সরকারের উপর কোন ধরনের কার্যক্রম না করার জন্য মহামাণ্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা জারী আছে।কারণ আওয়ামী লীগের আমলেও আওয়ামী নেতারা রহিমার জায়গা গ্রাস করতে চেষ্টা করলে সে বাধ্য হয়ে ২০২০ সালে মহামাণ্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে।রিট পিটিশন নং-১৭৭৫/২০২০ইং।কিন্তু ৫ আগষ্ট ২৪ইং পাটি পরিবর্তনের পর পর শিবলী মাহমুদুল হকের পরিবার ও রহিমাদেরকে পুকুরে ও তাদের জায়গায় যাওয়ার জন্য পথ বন্ধ করে ওয়াল দিয়ে দেয়।অথচ মাহমুদুল হকের জীবদ্দশায় পুকুরে যাওয়ার জন্য শিবলীদেরকে বিনা টাকায় কিছু জায়গা রেজিষ্টী দেয়। এরপর লোভে পড়ে সাংবাদিক মাহমুদের বাড়ির সামনে পূর্বে (পুকুর পাড়ে) রহিমার ঘরের উপর।গত বুধবার রাত ৮টায় শিবলী অপরিচিত ৪/৫ জন সন্ত্রাসী টাইপের লোকজন এনে রহিমার টিনের ঘেরাটি ভাঙ্গার জন্য তাদের ঘুরে ঘুরে দেখানোর সময় রহিমা ঘর থেকে বের হয়।রহিমাকে দেখেই শিবলী দ্রুত স্হান ত্যাগ করে এবং অপরিচিত ৪/৫ জন সন্ত্রাসীরাও ঘটনাস্হল থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।তৎক্ষণাৎ রহিমা মডেল থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে।

এদিকে ভুক্তভোগী রহিমা জানান,আমার ভাই মাহমুদুল হক দৈনিক সংগ্রামের সাংবাদিক ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে শিবলীর ভাই রুবেল আওয়ামী যুবলীগ ওয়ার্ড সেক্রেটারী থাকার সুবাদে শিবলী আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করে।সর্বশেষ ৫ আগষ্ট ২৪ সালের পর থেকে নতুন করে আবার শিবলীর দাপট শুরু হয় এবং একই কায়দায় সেও আমাদেরকে হয়রানি করে।গতকাল বুধবার সরকারী রাস্তার অজুহাত তুলে আমার ভাইয়ের নির্মাণ করে দেয়া ঘরটি ভেঙ্গে দখল করার পায়তারা করে।আমি আরো শুনতে পাই ইউএনও স্যার নাকি তাকে বলেছেন হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতে পারবেন না।তবে তিনি নাকি তাকে বলেছে আমাদেরকে উচ্ছেদ করে দিতে। একথা শিবলী এলাকায় বলে বেড়াচ্ছে। ঘর ভাঙ্গার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করার জন্য, কয়েক বার কল করলে তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।এই ঘটনার সীতাকুণ্ড মডেল থানার তদন্ত কমকর্তা (এসআই) নূর হোসেন বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিদেশ প্রদান করি।

Comments

Popular posts from this blog

নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিভাগে সুযোগ না দেওয়ায় মানববন্ধন করলো রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ এর শিক্ষার্থী ও অভিভাবক

কক্সবাজারে আশ্রিতের স্ত্রীকে ধর্ষণ অতঃপর স্বামীকে হত্যা

পটিয়া হাবিলাসদ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯২ ব্যাচের পূর্ণমিলনী উৎসব আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন